ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে হত্যার কথিত ষড়যন্ত্রে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দাদের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য প্রস্তুত থাকার অভিযোগে পোল্যান্ডে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পোলিশ প্রসিকিউটরদের বরাতে খবরটি জানিয়েছে আল জাজিরা।
এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পোলিশ প্রসিকিউটররা বলেছেন, পোলিশ নাগরিক পাওয়েলকে রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য সরবরাহ করার এবং জেলেনস্কির বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিশেষ বাহিনীকে সম্ভাব্য হত্যা প্রচেষ্টার পরিকল্পনা করতে সহায়তা করার বিষয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন বলেছেন যে, সে রাশিয়া ফেডারেশনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে কাজ করতে প্রস্তুত এবং তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধে সরাসরি জড়িত রাশিয়ার নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাওয়েল দোষী সাব্যস্ত হলে তার আট বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটররা সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছিলেন বলে ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর-জেনারেল অ্যান্ড্রি কোস্টিন বলেছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের রজেসজো-জাসিওনকা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সম্পর্কে আগ্রাসী রাষ্ট্রের তথ্য সংগ্রহ ও প্রেরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
বিমানবন্দরটি মার্কিন সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেলেনস্কি তার বিদেশ ভ্রমণে প্রায়শই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। এটি বিদেশী কর্মকর্তারা এবং ইউক্রেনের দিকে যাওয়া ত্রাণবাহী গাড়িবহর দ্বারাও ব্যবহার করা হয়।
অ্যান্ড্রি কোস্টিন এক্স-এ লিখেছেন, ‘এই কেসটি রাশিয়ার ক্রমাগত হুমকিকে বোঝায় যা শুধুমাত্র ইউক্রেন এবং ইউক্রেনীয়দের জন্য নয়, বরং সমগ্র মুক্ত বিশ্বের জন্য।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ক্রেমলিনের অপরাধী শাসন অন্যান্য সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করে এবং পরিচালনা করে।’
পোলিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাডোস্লা সিকোরস্কি অপারেশনে তার দেশের বিশেষ পরিষেবা এবং প্রসিকিউটরদের কাজের পাশাপাশি প্রতিবেশী ইউক্রেনের সঙ্গে সহযোগিতার প্রশংসা করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান আগ্রাসনের পর থেকে ওয়ারশ কিয়েভের অন্যতম কট্টর সমর্থনকারী, যদিও সম্প্রতি কৃষি আমদানি নিয়ে বিরোধে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়েছে।