নির্বাচনের আগে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ইলেকট্রিক গাড়িসহ চীনের একাধিক পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ইলেকট্রিক গাড়ি, কম্পিউটার চিপস ও মেডিকেল পণ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপকরণ আমদানিতে নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছে বাইডেন প্রশাসন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। কর্মকর্তারা এই ঘোষণা দেওয়ার সময় সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিরও সমালোচনা করেন।
চলতি বছরই ইলেকট্রিক গাড়ির ওপর শুল্কের হার প্রায় চার গুণ বেড়ে ১০০ শতাংশ হতে যাচ্ছে। সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আগামী বছরে বর্তমান ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ হতে যাচ্ছে।
চীনকে 'প্রযুক্তির আদানপ্রদান, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি ও উদ্ভাবনের' ক্ষেত্রে বাণিজ্য বৈষম্য দূর করতে বাধ্য করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।
এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্যিক রেষারেষির অংশ হিসেবে ৩০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক বসান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্যে বাড়তে যাচ্ছে শুল্ক।
মার্কিন পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে চীন থেকে ৪২৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। আর দেশটি চীনে ১৪৮ বিলিয়ন ডলার রফতানি করেছে।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যাডভাইজার লেল ব্রেইনার্ড বলেন, চীন কম দামে পণ্য রফতানি করে বিশ্ববাজারে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখছে। যা অন্যায় ও অন্যায্য।
নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়ে বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতিমালার লঙ্ঘন করে একপাক্ষিক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছে।
বেইজিংয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানান, চীন 'তাদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবে।