দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার (২৯ মে) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়; যা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বুধবার (২৯ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচন উপলক্ষে এদিন দেশটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির ৯টি প্রদেশের ২৩ হাজার ২৯২টি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।
কর্তৃপক্ষের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৬২ মিলিয়ন জনগণ আছে। তাদের মধ্যে ভোটের জন্য নিবন্ধিত হয়েছে ২৭ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মানুষ। এর আগে ২০১৯ সালের নির্বাচনে ২৬ দশমিক ৭৪ মিলিয়ন নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন।
নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে বসবাস করেন তারা গত ১৭ ও ১৮ মে ভোট দিয়েছেন। আর গর্ভবতী নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভোটাররা গত ২৭ ও ২৮ মে ভোট দিয়েছেন।
গণতান্ত্রিক শাসনের ৩০ বছরে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক আইনসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।। একে বলা হচ্ছে এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ নির্বাচন। কারণ, কেউই নিশ্চিত নন কি হতে যাচ্ছে সেখানে। নির্বাচনী ব্যালটে সবচেয়ে বড় ইস্যুর মধ্যে আছে বেকারত্ব, অপরাধ এবং বিদ্যুতের সঙ্কট।
আল জাজিরা বলছে, প্রথমবারের মতো পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)। এর ফলে দেশটিতে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসতে পারে জোট সরকার। ভোটারদের মধ্যে যখন অসন্তোষ তীব্র তখন ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স (ডিএ), ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটার্স (ইএফএফ) এবং নতুন ‘উমখোন্টো উই সিজওয়ে’র (এমকে) মতো বিরোধী দলগুলো অনলাইন প্রচারণায় কড়া চাপ সৃষ্টি করেছে এনএনসির ওপর। তারা দেশজুড়ে র্যালি করেছে। সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছাড়াও ৭০টি রাজনৈতিক দল প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে। এ বছর প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে মোট ৩১টি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।