তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে সরাসরি আলোচনায় বসেছেন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের প্রতিরক্ষা প্রধানরা।
আল জাজিরা জানিয়েছে বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যকার এই সামরিক সংলাপ তাইওয়ান এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া থেকে রোধ করতে সহায়ক হতে পারে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুন ১৮ মাসের মধ্যে এই প্রথম মুখোমুখি আলোচনার জন্য শুক্রবার (৩১ মে) সাক্ষাত করেন।
উল্লেখ্য, সারাবিশ্বের প্রতিরক্ষা প্রধান এবং কর্মকর্তারা সিকিউরিটি ফোরামের বার্ষিক যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে জড়ো হয়েছেন।
সিঙ্গাপুরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিকিউরিটি ফোরামের আতিথেয়তায় বিলাসবহুল শাংগ্রি-লা হোটেলে তারা আলোচনা শুরু করেন। এর আগে গত এপ্রিলে একটি ভিডিও কনফারেন্স এই দুজনের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছিল।
চীন তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া চালানোর এক সপ্তাহ পরে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এই আলোচনা বেশ প্রয়োজনীয় ছিল বলেই মত দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
কারণ, এশিয়া প্যাসিফিক, বিশেষ করে ফিলিপাইনের সঙ্গে ওয়াশিংটনের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালী ও দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করায় বেশ ক্ষুব্ধ বেইজিং।
এ ছাড়াও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সর্বকালের বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত এপ্রিলে সামরিক মহড়ার সময় উত্তর ফিলিপাইনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনের তীব্র নিন্দা করে বৃহস্পতিবার বলেছে, ‘এই মহড়া এ অঞ্চলে যুদ্ধের বিশাল ঝুঁকি তৈরি করেছে।’
তবে এএফপি জানিয়েছে, উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা কতদূর গড়িয়েছে সে বিষয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করেনি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র।