আসামের বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৮ তে পৌঁছেছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ।
সোমবার (৩ জুন) এনডি টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভয়াবহ বন্যায় আসামের অন্তত ১৩টি জেলা প্লাবিত হয়েছে। গত শুক্রবার পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ। একদিন পরই তা ৬ লাখে ছাড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে গতকাল রোববার আরও দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত ২৮ মে থেকে এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আসামের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আসামের অন্তত ১৩টি জেলা বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নগাওঁ জেলা। শুধু নগাওঁতেই বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা আড়াই লাখের বেশি। এদিকে কপিলি, বরাক এবং কুশিয়ারা এই তিন নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসনসহ একাধিক সংস্থা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চিকিৎসা দলও মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয়দের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে আসাম পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। তারা জানিয়েছে, জনগণের নিরাপত্তা ও প্রাণহানি এড়ানোর স্বার্থেই এ বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আসামে বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, আসামে আরও ভারী বর্ষণ হতে পারে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বাড়তে পারে।