ভারতের লোকসভা নির্বাচনে হিমাচলের মণ্ডী কেন্দ্র থেকে জিতছেন বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাউতই।
এনডিটিভি জানিয়েছে, গণনা শুরুর প্রথম থেকেই কংগ্রেসের প্রার্থী তথা সে রাজ্যের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিংকে টেক্কা দিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী। প্রতি রাউন্ডেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভোটের ব্যবধান।
নির্বাচন কমিশনের বিকাল সাড়ে ৩টার হিসাব অনুযায়ী, কঙ্গনা ৭০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিক্রমাদিত্যের থেকে, যা অভিনেত্রীকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তিনি যে জিতছেন, তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত কঙ্গনাও। তবে এই জয়ের কৃতিত্ব বলিউড অভিনেত্রী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই। তিনি বলেন, ‘আমার জয়ের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।’
যদিও এই জয়ের কৃতিত্ব বিজেপির থেকে কঙ্গনাকেই বেশি দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। গত ১ জুন কঙ্গনা রানাউতের লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ছিল। তার নাম ঘোষণার পর থেকেই গত দেড় মাস হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন জেলা চষে বেড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।
নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জনসংযোগ করেছেন। আর সেই পরিশ্রমের ফলই কঙ্গনা পেয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকেই।
পাশাপাশি, জয় প্রায় নিশ্চিত করে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কংগ্রেসের প্রার্থীকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি। তার ভাষ্যমতে, ‘এখনই ব্যাগ গুছিয়ে হিমাচল ছাড়া উচিত কংগ্রেস প্রার্থীর।’
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি আরও বলেন, ‘একজন নারী সম্পর্কে এত খারাপ কথা যারা বলেন, তাদের পরিণতি ভোগ করতেই হবে। আমরা ব্যাপকভাবে জিতছি। মণ্ডী নিজের নারীদের অপমানের সহ্য করেনি।’
উল্লেখ্য, পদ্মশিবিরের প্রতি কঙ্গনার আনুগত্য সুবিদিত। তাই হিমাচল প্রদেশের মণ্ডী আসন থেকে প্রার্থী হিসাবে সে রাজ্যের কন্যাকেই বেছে নিয়েছিল বিজেপি।
প্রথমবার ভোটের ময়দানে পা দেন তিনি। তার বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন হিমাচলের ছয় বারের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র বিক্রমাদিত্য। তার মা প্রতিভা হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের সভানেত্রী। তাই মনে করা হয়েছিল, মণ্ডী আসনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে কঙ্গনাকে।
তবে ভোটগণনার দিন দেখা গেল, ভোট পাওয়ার নিরিখে বিক্রমাদিত্যের থেকে অনেকটাই এগিয়ে থেকে নিজের জয়ের পথ কুসুমাস্তীর্ণ করে ফেলেছেন কঙ্গনা।