বলিউড অভিনেত্রী তথা বিজেপির নবনির্বাচিত সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে চড় মেরে সাসপেন্ড এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নারী নিরাপত্তারক্ষী কুলবিন্দর কউর।
তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, তাতে ভয় পাচ্ছেন না কুলবিন্দর। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, কেন কঙ্গনাকে চড় মেরেছিলেন তিনি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চণ্ডীগড় থেকে দিল্লিতে যাচ্ছিলেন কঙ্গনা। বিকালে বিস্তারার বিমান ধরতে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখানে নিরাপত্তা তল্লাশির সময়ে ওই সিআইএসএফ কর্মীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, কঙ্গনা নিজের মোবাইল তল্লাশির জন্য নির্দিষ্ট ট্র-তে রাখতে চাননি। এরপরই ওই নারী নিরাপত্তারক্ষী এসে কঙ্গনাকে সপাটে চড় মারেন।
এরপর দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান কঙ্গনা। তাপরেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সাসপেন্ডও করা হয় তাকে।
ঘটনার পরে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন কঙ্গনা। সেখানে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন তিনি।
পাঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি। কঙ্গনার অভিযোগ, ওই নারী নিরাপত্তারক্ষী কৃষক আন্দোলনের সমর্থক।
অবশেষে শাস্তি পেয়ে মুখ খোলেন অভিযুক্ত ওই ওই নারী নিরাপত্তারক্ষীও। তিনি জানান, কৃষক আন্দোলনের সময়ে কঙ্গনার একটি মন্তব্য তিনি মেনে নিতে পারেননি। বিমানবন্দরে তাকে দেখে তাই তার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। ইচ্ছা করেই কঙ্গনাকে চড় মেরেছেন বলে জানান অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলন চলাকালীন কঙ্গনা একবার বলেছিলেন, ১০০ টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করতে বসেছেন কৃষকেরা। এই মন্তব্যের জেরেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন কুলবিন্দর।
তিনি জানান, তার মা-ও কৃষক আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করার কথা বলে কৃষকদের অপমান করেছেন কঙ্গনা। সেই কারণেই তিনি তাঁকে সামনে পেয়ে চড় মেরেছেন।
হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যা হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, এটা ভেবে খারাপ লাগছে।’
লোকসভা নির্বাচনে এবার হিমাচল প্রদেশের মণ্ডী থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছেন কঙ্গনা। ৭৪ হাজারের বেশি ভোটে তিনি হারিয়েছেন কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে।