রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার (৭ জুন) বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে বিজয়ের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের দরকার নেই রাশিয়ার।’
রয়টার্স জানিয়েছে, তবে শর্ত সাপেক্ষে ইউক্রেনে পারমানবিক হামলা চালানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্রেমলিন প্রধান।
পুতিন বলেছেন, তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিক পরিস্থিতি এখনো দেখতে পাচ্ছেন না।
তবে বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তির নেতৃত্বে থাকা পুতিন বলেছেন, তিনি রাশিয়ার পারমাণবিক মতবাদের পরিবর্তনের বিষয়টি অস্বীকারও করবেন না।
তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে এবং প্রয়োজনে রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাও চালাতে পারে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রভাবশালী বিশ্লেষক সের্গেই কারাগানভের প্রশ্ন উত্তরে পুতিন এসব কথা বলেন।
পুতিনের প্রতি কারাগানভের প্রশ্ন ছিল, ‘ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমের দিকে পারমাণবিক অস্ত্র তাক করে রাখা উচিত কিনা?’
ওই প্রশ্নের উত্তরে সেন্ট পিটার্সবার্গে ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে পুতিন বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেটি হলো-দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়লে। আমি মনে করি না যে, রাশিয়ার ভূখন্ড এখনো তেমন কোনো হুমকির মুখে পড়েছে।’
পুতিন আরও বলেন, ‘এটি সত্য যে, আমরা আমাদের চারপাশে কী ঘটছে, তা যত্ন সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজনে পারমাণবিক মতবাদ পরিবর্তনের বিষয়টিও বাদ দিচ্ছি না।’
এদিকে, ইউক্রেনের কাছে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান হস্তান্তর করবে ফ্রান্স। রয়টার্স জানিয়েছে, এ ছাড়াও কিয়েভের সঙ্গে একটি নতুন সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসাবে ইউক্রেনের পাইলটদের প্রশিক্ষণও দেবে প্যারিস।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বৃহস্পতিবার (৬ জুন ) এই ঘোষণা দেন।
মাখোঁ ফরাসি টিভিকে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) আমরা একটি নতুন সহযোগিতা চালু করবো। সেটা হলো-আগামীকাল আমরা ফরাসি নির্মাতা ড্যাসল্টের তৈরি মিরেজ ২০০০ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনে হস্তান্তরের ঘোষণা করবো এবং ফ্রান্সে ইউক্রেনের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’
মাখোঁ বলেন, তিনি শুক্রবার (৭ জুন) প্যারিসের এলিসি প্রসাদে আলোচনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মিলিত হন। এ সময় তিনি এই গ্রীষ্ম থেকেই পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে জেলেনস্কিকে প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, ‘জেলেনস্কির পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। তাই বছরের শেষ নাগাদ দক্ষ পাইলট দরকার। পাইলটদের ফ্রান্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’ তবে, কতোটি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হবে তা তিনি উল্লেখ করেননি মাখোঁ।
মাখোঁ বলেন, ফ্রন্টলাইনে হাজার হাজার সেনা পাঠানোর জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে ইউক্রেন।
তিনি বলেন, ফ্রান্স ইউক্রেনের ৪,৫০০ সেনার একটি সম্পূর্ণ ব্রিগেডকে সজ্জিত করবে ও প্রশিক্ষণ দেবে, যাতে তারা ইউক্রেনে ফিরে নিজেদের রক্ষা করতে পারে।