টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি। দেশটির স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রভাবশালী নেতা এবং মহাত্মা গান্ধীর রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী জওহরলাল নেহরুর পর মোদিই এই কৃতিত্বের অধিকারী হলেন।
রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এ উপলক্ষে দিল্লিজুড়ে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব, নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মোদির শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচন্ড, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনাথ প্রমুখ। এছাড়াও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৮ হাজারের বেশি বিশিষ্টজনকে।
এবার লোকসভা নির্বাচনে মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে তার তৃতীয় মেয়াদের এই সরকার হচ্ছে জোটের ওপর নির্ভরশীল। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর জোটের মিত্রদের সঙ্গে চলেছে দরকষাকষি।
ভারতের রাজনীতির কিংমেকার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিএস) এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) ‘পাওনা’ বুঝে পাওয়ার জন্য এই দরকষাকষি করছিলেন। গত শুক্রবার এনডিএ জোটের নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে সমর্থন দেন। এরপরই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের জন্য মোদিকে আমন্ত্রণ জানান।
১৮তম লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট মোট ২৯৩ আসন পেয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯ আসন। কংগ্রেসের ‘ইন্ডিয়া’ জোট পেয়েছে ২৩৩ আসন। বিরোধী দলনেতার পদের জন্য লোকসভায় ৫৫টি আসনে জেতা প্রয়োজন। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে ৪৪ এবং ২০১৯ সালে ৫২ আসনে জয়ী কংগ্রেস সংসদীয় বিধি অনুযায়ী সেই মর্যাদা পায়নি। এবার সেই মর্যাদা পেতে চলেছে মল্লিকার্জুন খড়েগ, রাহুল গান্ধীর দল।
অন্য দলগুলোর মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) নয়টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) আটটি ও শিবসেনা (এসএইচএস) সাতটি আসনে জয় পেয়েছে।