যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তিতে চালিত একটি ডুবোজাহাজ এবং একটি রণতরিসহ চারটি নৌযান কিউবাতে পৌঁছেছে।
জাহাজগুলো নোঙর করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য থেকে প্রায় ৯০ মাইল দূরে অবস্থিত হাভানা বেতে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে কিউবায় জাহাজগুলো নোঙর করা হয়েছে যুদ্ধজাহাজ পাঠানো মস্কোর শক্তি প্রদর্শনের প্রচেষ্টা হতে পারে।
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, অ্যাডমিরাল গোরশকভ নামের জাহাজ এবং কাজান নামক ডুবোজাহাজ-এ দুটোতেই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র জিরকনসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক অস্ত্র বহন করা হয়।
রাশিয়ার এই দুটি সামরিক নৌযান এর আগে আটলান্টিক মহাসাগরে ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে।
তবে কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাহাজগুলোর কোনোটির ভেতরই পারমাণবিক অস্ত্র নেই এবং এগুলো সেখানে পাঁচ দিন অবস্থান করবে।
তবে জাহাজগুলোর অবস্থানের কারণে ওই অঞ্চলের জন্য কোনো নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হবে না বলে নিশ্চিত করেছে কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
সিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জাহাজগুলো কিউবার কাছাকাছি পৌঁছালে সি ড্রোন ব্যবহার করে সেগুলোকে নজরে রেখেছিল মার্কিন নৌবাহিনী।
বুধবার (১২ জুন) ভোরে রাশিয়ার জাহাজগুলো হাভানা বেতে প্রবেশ করে। এগুলো ঢোকার সময় ২১টি তোপধ্বনি দেওয়া হয়।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি একটি অনানুষ্ঠানিক সফর। জাহাজের নাবিকেরা যেন বিশ্রাম নিতে পারেন এবং স্থানীয়ভাবে সুপরিচিত জিনিসগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে এ সফরের আয়োজন করা হয়েছে।
রাশিয়া এর আগেও কিউবায় যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিল। এই দুই দেশই দীর্ঘদিনের মিত্র। হাভানায় সফর শেষ করে রাশিয়ার জাহাজগুলো ভেনেজুয়েলাতে যেতে পারে।
মার্কিন কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, জাহাজগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি বলে বিবেচনা করছেন না তারা। কারণ, তারা মনে করেন পারমাণবিক-চালিত ডুবোজাহাজটিতে পারমাণবিক অস্ত্র নেই।