হাঙ্গেরিকে ২০০ মিলিয়ন ইউরো বা ২১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ আদালত।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ব্লকটির আশ্রয় আইন অনুসরণ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য এবং অবৈধভাবে অভিবাসীদের নির্বাসনের জন্য ওই জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।
২০১৫ সালে এক মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপে প্রবেশ করার পর থেকে হাঙ্গেরির অভিবাসী বিরোধী সরকার শরণার্থীদের সেদেশে প্রবেশের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়।
হাঙ্গেরি তার সীমান্তের বেড়া তৈরি করে এবং জোরপূর্বক অনেককে প্রবেশে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জারি করা রায়ে ইউরোপীয় বিচার আদালত বলেছে, আপিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত হাঙ্গেরিতে থাকার জন্য আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য আবেদনকারীদের অধিকারের বিষয়ে ২০২০ সালের রায় মেনে চলতে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বুদাপেস্ট।
বৃহস্পতিবারের রায়ে আরও বলা হয়েছে, হাঙ্গেরির সাধারণ ইইউ নীতির প্রয়োগের ব্যর্থতা ইইউ আইনের একটি অভূতপূর্ব এবং অত্যন্ত গুরুতর লঙ্ঘন।
হাঙ্গেরি সরকারের এক মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে ওই রায়ের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রাজি হননি।
হাঙ্গেরি সরকার এ বিষয়ে পূর্বে যুক্তি দিয়েছিল যে, ২০২০ সালের রায়টি বিতর্কিত ছিল। কারণ, তারা ইতিমধ্যে তথাকথিত ট্রানজিট জোন বন্ধ করে দিয়ে ভবিষ্যতে আশ্রয় আবেদনকারীদের বাধা দেওয়ার জন্য নিয়মগুলোকেও কঠোর করেছে।
হাঙ্গেরির বর্তমান আইন অনুযায়ী, শরণার্থী শুধুমাত্র তাদের সীমানার বাইরে প্রতিবেশী সার্বিয়া বা ইউক্রেনের দূতাবাসগুলোতে আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ জমা দিতে পারবে। তাই যারা সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করে তাদের ঠেলে দেওয়া হয়।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান, যিনি প্রায়শই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর বিষয় নিয়ে ব্রাসেলসের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন, তিনি ২০২১ সালে বলেছিলেন যে, ইউরোপীয় আদালত তাদের আইন পরিবর্তন করার নির্দেশ দিলেও তারা বিদ্যমান শাসনব্যবস্থা (আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে) বজায় রাখবে।