ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের হাত রয়েছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, তদন্তে এমন তথ্যই উঠে আসছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে কাঠুয়ার এক গ্রামে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুই জঙ্গি। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষে দুজনেই নিহত হন।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, তাদের মধ্যে একজন জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য রিহান। অন্য জন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসার ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই জঙ্গির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা জিনিসগুলো দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে যে, ওই জঙ্গিদের পেছনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মদত রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার বলেন, ‘জঙ্গিদের থেকে নাইটস্কোপ এবং ফ্রিকোয়েন্সি স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ডিভাইসসহ একটি এম৪ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়াও তারা একটি মাইক্রো স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছিল। ওই ডিভাইসটি সাধারণত পাকিস্তান সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনীতে ব্যবহার করা হয়।’
গত মঙ্গলবার রাতে কাঠুয়া জেলার হিরানগরীর সাইদা সুখল গ্রামে ঢুকে পড়ে দুই জঙ্গি। এক গ্রামবাসীর বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় তারা। সেই ঘটনায় এক জন গ্রামবাসী আহত হন।
এরপরেই ওই দুই জঙ্গিকে খুঁজে বার করতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার রাতেই একজন জঙ্গিকে হত্যা করে তারা।
বুধবার দুপুরে আরও একজনের মৃত্যু হয় নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে। এই অভিযানে জঙ্গিদের চালানো গুলিতে আধাসামরিক বাহিনীর এক জওয়ানও নিহত হয়েছেন।
চলতি সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে পর পর একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। জম্মুর শিবখড়ি মন্দির থেকে কাটরায় বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরের উদ্দেশে যাওয়া তীর্থ যাত্রীবোঝাই বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা।
হামলার জেরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গড়িয়ে খাদে পড়ে যায় এবং মৃত্যু হয় ১০ জন পুণ্যার্থীর। তারপর মঙ্গলবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরে জোড়া হামলা চালায় জঙ্গিরা। কাঠুয়া ছাড়াও ডোডায় একটি সেনাঘাঁটিতেও হামলা চালায় জঙ্গিরা।
সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গেও গোলাগুলি হয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ছয় জন সেনা সদস্য আহত হন। পর পর জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন।