সুইজারল্যান্ডে বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে শনিবার (১৫ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে শীর্ষ সম্মেলন। এতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালির রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ভারত, তুরস্ক এবং হাঙ্গেরিও এতে যোগ দেবে। তবে এই সম্মেলনে রাশিয়াকে দাওয়াত দেয়া হয়নি এবং চীন যোগ দেবে না।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলেনস্কির নির্দেশে এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছে সুইজারল্যান্ড। দুইদিনের এই সম্মেলনে প্রায় ৯০টি দেশ ও সংস্থার যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনে রাশিয়াকে দাওয়াত দেয়া না হলেও মস্কোকে সঙ্গে নিয়েই ভবিষ্যৎ শান্তি প্রক্রিয়ার পথ প্রশস্ত করতে চায় সুইজারল্যান্ড।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ বৃদ্ধি করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার প্রধান মিত্র চীন এতে অংশ না নেয়ায় সম্মেলনের প্রভাব কিছুটা ম্লান হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া চীনের সহায়তা না পাওয়ায় বিশ্ব থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার পশ্চিমা আশা ফিকে হয়ে গেছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জাতিসংঘ বিষয়ক পরিচালক রিচার্ড গোয়ান বলেছেন, এই বৈঠকটি ইউক্রেনের কূটনীতির সীমাবদ্ধতার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে। এরপরও ইউক্রেন যে জাতিসংঘ সনদের নীতিমালা রক্ষা করছে, বিষয়টি বিশ্ববাসীকে মনে করিয়ে দেয়ার একটি সুযোগ তাদের সামনে এসেছে।
এদিকে এই সম্মেলনে আগের দিন শুক্রবার (১৪ জুন) মস্কোয় রুশ রাষ্ট্রদূতদের এক বৈঠকে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে দুটি শর্ত দেন পুতিন। রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চল থেকে ইউক্রনীয় সেনা প্রত্যাহার এবং পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের আলোচনা থেকে কিয়েভ সরে এলে রাশিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করবে বলে জানান তিনি। তবে পুতিনের এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেন ও পশ্চিমরা।