দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকজন সেনা সীমান্ত অতিক্রম করার পরে তারা সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছিল।
সিউল জানিয়েছে, চলতি মাসে তৃতীয়বারের মতো সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের ভূখন্ডে ঢুকেছে উত্তর কোরিয়ার সেনারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল ১১টায় উত্তর কোরিয়ার সেনারা ডিমিলিটারাইজড জোনের (ডিএমজেড) মধ্য দিয়ে চলমান সামরিক সীমানা রেখা অতিক্রম করার সময় ওই গুলির ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২১ জুন) জেসিএস জানিয়েছে, ‘আমাদের সামরিক বাহিনীর সতর্কবার্তা সম্প্রচার এবং সতর্কীকরণ গুলির পর উত্তর কোরিয়ার সেনারা উত্তর দিকে পিছু হটেছে।’
গত মঙ্গলবার এবং ৯ জুন অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল। উভয় দিনই সতর্কীকরণ গুলি চালানোর পরে দ্রুত পিছু হটেছিল উত্তর কোরিয়ান সেনারা।
পিয়ংইয়ংয়ের প্রথম সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া চুক্তির কিছু অংশ স্থগিত করার পর ২০১৮ সালের একটি সামরিক চুক্তি পরিত্যাগ করার পর থেকে পারমাণবিক সশস্ত্র উত্তর কোরিয়া সীমান্তে আরও সেনা এবং সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে।
সিউলের মতে, তারা কৌশলগত রাস্তা প্রসারিত করছে এবং আরও ল্যান্ডমাইন বিছিয়েছে, যার ফলে দুর্ঘটনাজনিত বিস্ফোরণের ফলে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার সামরিক সহায়তা চুক্তিকে অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি বলে শুক্রবার (২১ জুন) নিন্দা করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো তাই-ইউল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রুশ রাষ্ট্রদূত জর্জি জিনোভিয়েভকে তলব করে চুক্তিটির আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে।
জিনোভিয়েভ বলেছেন তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে হুমকি এবং ব্ল্যাকমেল গ্রহণযোগ্য নয়।