ভারতের দিল্লি হাইকোর্টে জামিন খারিজের দিনেই ফের ধাক্কা খেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর মঙ্গলবার (২৫ জুন) তিহার জেলে গিয়ে তাকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। বুধবার (২৬ জুন) তাকে আদালতে হাজির করানোর অনুমতিও পেয়েছে সিবিআই।
আদালতে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে সিবিআই।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তার গ্রেফতারির খবর প্রকাশ করলেও সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে আপ নেতা সঞ্জয় সিং এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে কেজরিওয়ালের জামিনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতেই কেন্দ্র এবং সিবিআই মিলে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যে মামলা সাজিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চাইছে। গোটা দেশ এসব দেখছে। দেশের মানুষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে আছে।’
প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গত বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। শুক্রবার সকালে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে কেজরিওয়ালের জামিন স্থগিত রাখে দিল্লি হাইকোর্ট। গত শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে ইডির মামলা শোনে হাইকোর্ট। তবে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টে।
শুনানিতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে আপতত তিহার জেলেই থাকতে হবে কেজরিওয়ালকে।
দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গত রবিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সোমবার তার সেই আর্জি আগামী বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করেন শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট গত সোমবার জানায়, বুধবারের মধ্যে ইডির মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট কোনে রায় দেয় কি না, তা দেখতে চায় তারা। তারপরেই শুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শেসমেষ মঙ্গলবারই তার জামিন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।