বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মুচকুন্দ দুবে মারা গেছেন। ১৯৫৭ সালে দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগে যোগ দেওয়া এই কূটনীতিক এক সময় দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশেও। ১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি নিযুক্ত ছিলেন মুচকুন্দে।
ভারতের সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, গত কয়েক মাস ধরে বার্ধক্যজনিত নানান জটিলতায় অসুস্থ ছিলেন মুচকুন্দ। আজ বুধবার দিল্লির ফোরটিস এসকোর্টস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
কূটনীতিক হিসেবে মুচকুন্দ দায়িত্ব পালন করেন তেহরান, জেনেভা, বার্ন, নিউইয়র্ক ও ঢাকায়। ১৯৯১ সালে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণের পর প্রায় ৭ বছর দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করেন তিনি। পরে দিল্লির কাউন্সিল ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট হন মুচকুন্দ।
ভারতীয় ফরেন সার্ভিস থেকে অবসর নেওয়ার পর, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন মুচকুন্দ। যেখানে তিনি প্রায় আট বছর অধ্যাপনা করেন। একজন আন্তর্জাতিক বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে জাতিসংঘ এবং ইউএনডিপির সদর দফতরে দায়িত্ব পালন করেছেন এই কূটনীতিক।
প্রাক্তন এই পররাষ্ট্রসচিবকে একজন নিরস্ত্রীকরণ বিশেষজ্ঞ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়াও তিনি ইউনেস্কোর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের ভারতীয় সদস্য, বিহারের কমন স্কুল সিস্টেম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সিকিমের পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিলেন।
৩ নভেম্বর ১৯৩৩ সালে ভারতের বিহার রাজ্যের দেওঘরে জন্মগ্রহণ করেন মুচকুন্দ দুবে। বর্তমানে তা ঝাড়খন্ডে অবস্থিত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির লৌদি রোডে শ্মশানে তার মরদেহের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।