একাধিক ওয়ারহেড সম্বলিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) সক্ষমতার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) বরাতে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এ খবর নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং আবর্জনা ভর্তি বেলুন পাঠানোর ঘটনায় পিয়ংইয়ং এবং সিউলের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।
উত্তর কোরিয়ার আবর্জনা ভর্তি বেলুনগুলোর কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাণকেন্দ্র ইনচিওন বিমানবন্দর বুধবার (২৬ জুন) সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয় সিউল।
ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়া হিসাবে দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তের কাছে লাউডস্পিকারে প্রচারণা চালিয়েছে এবং সামরিক মহড়া পুনরায় শুরু করেছে।
এদিকে কেসিএনএ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জানিয়েছে, স্বতন্ত্র মোবাইল ওয়ারহেডের পৃথকীকরণ এবং নির্দেশিকা নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা সফলভাবে পরিচালনা করেছে পিয়ংইয়ং।
কেসিএনএ আরও জানিয়েছে, একটি একক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে একাধিক ওয়ারহেড বহন এবং ছোড়ার সক্ষমতার পরীক্ষা ছিল এটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এর আগে জানিয়েছিল যে, উত্তর কোরিয়ার বুধবারের পরীক্ষাটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বলে মনে হয়েছে, যা মধ্য আকাশে বিস্ফোরিত হয়।
বিস্ফোরিত হওয়ার পরে ক্ষেপণাস্ত্রটি থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ধোঁয়া বেরোতে দেখা গেছে। সিউলের কর্মকর্তা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি কঠিন জ্বালানীচালিত হতে পারে।
কেসিএনএ জানিয়েছে, এটি ছিল প্রথম পর্যায়ের ইঞ্জিন ব্যবহার করে একটি মধ্যমপাল্লার কঠিন জ্বালানীচালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা।
কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হং মিন বলেছেন, ‘পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনের জন্য আইসিবিএম স্তরের ক্ষেপণাস্ত্র চাওয়া দেশগুলোর জন্য একাধিক ওয়ারহেড ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি অর্জন করা একটি চূড়ান্ত লক্ষ্য। মনে হচ্ছে উত্তর কোরিয়া দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে ধাপে ধাপে এই ধরনের প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।’