গৃহযুদ্ধের কবলে পড়তে পারে ফ্রান্স : ইমানুয়েল মাখোঁ

ইউরোপ, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-06-27 22:23:28

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ চরম উদ্বিগ্ন। কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে, ফ্রান্সে গৃহযুদ্ধে শুরু হতে পারে এবং দাঙ্গা আরো চরম আকার ধারণ করতে পারে, যার নমুনা ইতিমধ্যেই ফ্রান্সের অনেক শহরে দেখিয়েছেন বামপন্থীরা।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, এরপরই মাখোঁ বলেছেন, তার আশঙ্কা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ডানপন্থী বা বামপন্থীরা জয়ী হলে গৃহযুদ্ধের কবলে পড়তে পারে ফ্রান্স।

ফ্রান্সে আরএন দলকে ডানপন্থী এবং নিউ পপুলার ফ্রন্টকে বামপন্থী বলা হয়। এবারের নির্বাচনে তাদের দুজনেরই জোট রয়েছে। এক্সিট পোলে এই জোটের জয়ের ভালো সম্ভাবনা দেখা গেছে।

কিন্তু মাখোঁর মধ্যপন্থী এবং উদারপন্থী দল রেনেসাঁর জয়ের সম্ভবনা বেশ কম। এ কারণেই সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের বিষয়ে মাখোঁর বক্তব্য হালকাভাবে নিচ্ছেন না বিশ্লেষকরা।

সংসদ নির্বাচনের আগে জুনের শুরুতে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে তার ক্ষমতাসীন মধ্যপন্থী দলকে বিরোধী জোটের কাছে পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল। এছাড়াও ফ্রান্সে বামপন্থীরা যে ধরনের সহিংসতা সৃষ্টি করেছে, তাতে এক ভীতিকর মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

এরপরই সম্প্রতি মাখোঁ ফ্রান্সের বিখ্যাত পডকাস্ট 'জেনারেশন ডু ইট ইওরসেলফ'-এ তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘নিউ পপুলার ফ্রন্ট কোয়ালিশন পার্টনার আরএন পার্টি এবং বামপন্থী ফ্রান্স আনবোড পার্টির নীতি বিভাজনমূলক। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি বা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে তারা দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চান। এই নীতি নিয়ে তারা দেশকে কখনোই নিরাপদ রাখতে পারবেন না।’

মাখোঁর গৃহযুদ্ধের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে আরএন দলের সভাপতি জর্ডান বারডেলা এই বলে উত্তর দেন যে, ‘একজন প্রেসিডেন্টের কখনোই এমন কথা বলা উচিত নয়।’

এদিকে কয়েক দিন আগেই দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছিল যে, এবারের নির্বাচনে মাখোঁর দল ‘রেনেসাঁ’ ধাক্কা খেতে পারে। সম্ভবত সে কারণেই দেশটিকে এই ভয়ঙ্কর সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করেছেন মাখোঁ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে তার দলের পরাজয়ের পর তিনি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট আগামী ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সেদিন শুধুমাত্র সেসব আসনেই এই ভোট হবে, যেখানে প্রথম দফার ভোটে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি।

এদিকে, গত সপ্তাহান্তে ফ্রান্সে পরিচালিত একটি সমীক্ষার ফলাফল দেখিয়েছে যে আরএন পার্টি এবং তার মিত্ররা ভোটের প্রথম রাউন্ডে ৩৫-৩৬ শতাংশ ভোট পাবে। আর নিউ পপুলার ফ্রন্ট পাবে ২৭-২৯.৫ শতাংশ ভোট।

জরিপে আরও দাবি করা হয়েছে যে, মাখোঁর রেনেসাঁ ১৯.৫.-২২ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে থাকতে পারে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর