তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। আর প্রধানমন্ত্রী হয়েই ইতালি গিয়ে জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। সেখানে ইউক্রেন শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর ছিল না ভারতের।
এরপরই জানা যায়, রাশিয়ায় গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন মোদি। তারপরই মোদির রাশিয়া সফর নিয়ে ‘কিছুটা উদ্বেগ’ প্রকাশ করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মোদির মস্কো সফর নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট কার্ট ক্যাম্পবেল বলেন, প্রযুক্তি এবং সামরিক ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সখ্যতা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে ওয়াশিংটনের। তবে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাস্ট্রের বন্ধুত্বের ওপরে আমাদের বিশ্বাস রয়েছে।'
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ক্যাম্পবেল বলেন, 'ভারতের সঙ্গে আমরা সব সময়ই বিস্তারিত এবং খোলাখুলি আলোচনা করি। আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলি। আবার ভারত-রাশিয় সম্পর্ক নিয়েও কথা হয় আমাদের। ভারত এবং রাশিয়ার বন্ধুত্ব কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের জন্যে উদ্বেগের, তা আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েও দিয়েছি। আমরা এই নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশও করেছি। তবে প্রযুক্তি এবং সামরিক খাতে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক যাতে বজায় না থাকে তার জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। ভারতের সঙ্গে এই সবক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক ক্রমেই গভীর হচ্ছে। আমরা সেই সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে চাই।'
এরপর এই মার্কিন নেতা বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত, উভয় দেশই শক্তিশালী। আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে। তবে ঐতিহাসিকভাবে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, সম্পর্ক পৃথক থাকতেই পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে, আমরা একে অপরকে সম্মান দিয়ে পারস্পরিক মতামত শুনে থাকি। তবে যেসব ক্ষেত্রে আমাদের এখনো মিল হয়নি, সেই সব বিষয় ক্রমেই কমে আসছে।'
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, আগামী মাসেই রাশিয়ায় যেতে পারেন মোদি।
এর আগে মোদী তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী পথে শপথ নেওয়ার পরে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পুতিন। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করার কথা জানিয়েছিলেন পুতিন।