যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন আয়োজিত প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে হতাশাজনক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করার পর জো বাইডেনকে নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক পরিষদ।
শুক্রবার (২৮ জুন) প্রকাশিত এক মতামত কলামে এ আহ্বান জানায় নিউইয়র্ক টাইমস।
সম্পাদক পরিষদ বলেছে, ‘বৃহস্পতিবার রাতে একজন সাধারণ সরকারি কর্মচারীর রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। দ্বিতীয় মেয়াদে কী করবেন সে ব্যাখা দিতেই হিমশিম খেয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের উসকানির জবাব দিতে, মিথ্যাচার রুখে দিতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন বাইডেন। ট্রাম্পকে তার মিথ্যা কথা, ব্যর্থতা ও ভয়ানক সব পরিকল্পনার জন্য জবাবদিহি করাতেও পারেননি তিনি। একাধিকবার চেষ্টা করেও তিনি একটা বাক্য শেষ করতে পারছিলেন না।’
সম্পাদক পরিষদ বলে, বাইডেন এখন যা করতে পারেন তা হলো, তিনি পুনরায় নির্বাচন করছেন না-এই ঘোষণা দেওয়া। দেখা যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এক বেপরোয়া জুয়ায় লিপ্ত আছেন। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়া ঠেকাতে ডেমোক্র্যাট নেতাদের মধ্যে নিজেকে স্পষ্টবাদী, বাধ্যকারী ও উদ্যোমী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার মতো অধিকতর যোগ্য বিকল্প রয়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, বাইডেনের ঘাটতিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বয়স ও সীমাবদ্ধতা। আমেরিকানরা বাইডেনের সেই বয়স ও দুর্বলতা এড়িয়ে যাবেন না। বরং বিষয়টাকে সরলভাবে নেওয়াটাও হবে ডেমোক্রেটিক পার্টির এক বড় জুয়া।
সম্পাদক পরিষদ অবশ্য বলেছে, যদি বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজনকেই বেছে নিতে হয়, তবে তারা ‘দ্ব্যর্থহীন বাছাই’ হিসেবে এখনো বাইডেনকে সমর্থন করবে।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক পরিষদের এমন সমালোচনায় শুক্রবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্বাচনি প্রচারশিবির।
বাইডেনের প্রচারশিবিরের কো-চেয়ার সেডরিক রিচমন্ড বলেছেন, ‘গতবার জো বাইডেন নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদক পরিষদের সমর্থন পাননি। সেটি তার জন্য বেশ ভালোই হয়েছে।’
২০২০ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই প্রার্থী সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার ও এলিজাবেথ ওয়ারেনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিল দ্য টাইমস।
বাইডেন শিবিরের কো-চেয়ার মিচ ল্যান্ডরিউ গতকাল রাতে সিএনএনকে বলেন, বাইডেনের ওপর শতভাগ আস্থা রয়েছে তার। তিনি আরও বলেন, ‘বাইডেন নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন কি না, সেটি একান্তই তার সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি, আজ নর্থ ক্যারোলাইনায় জনগণের উদ্দেশ্যে সে জবাব দিয়েছেন তিনি।’