হারিকেন বেরিল আরো শক্তিশালী হওয়ায় ক্যারিবিয়ানের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা শনিবার (২৯ জুন) থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
হারিকেন বেরিল-এর বিষয়ে আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, এটি দ্রুত একটি বড় ঝড়ে পরিণত হবে।
ইউএস ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, বেরিল বর্তমানে বার্বাডোসের প্রায় ৭২০ মাইল পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থান করছে।
রবিবার থেকে সোমবার দিনের শেষে উইন্ডওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর সময় এটি একটি বড়ো ধরনের বিপজ্জনক হারিকেনে রূপ নেবে।
এনএইচসি তার সর্বশেষ সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, হারিকেনটির তান্ডব সহ্য করতে হবে বার্বাডোসকে। এছাড়াও সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস এবং গ্রেনাডা-সব জায়গায় হারিকেনটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এদিকে, ভয়াবহ ঝড় আঘাত হানার আশঙ্কায় বার্বাডিয়ান রাজধানী ব্রিজটাউনের গাড়িগুলোকে গ্যাস স্টেশনগুলোতে লাইন দিতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া সুপার মার্কেট এবং মুদির দোকানে খাবার, পানি ও অন্যান্য সামগ্রীর জন্যে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
ধারনা করা হচ্ছে এটি ক্যাটাগরি-৩ হারিকেনে রূপ নেবে এবং ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১১১ মাইল।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আটলান্টিক হারিকেন মৌসুমের শুরুতেই এই ধরনের শক্তিশালী ঝড় তৈরি হওয়া অত্যন্ত ব্যতিক্রম। আটলান্টিক হারিকেন মৌসুম জুনের শুরু থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলে।
তবে ইউএস ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) মে মাসের শেষের দিকে বলেছিল, এই বছরটি একটি ব্যতিক্রমী হারিকেনের মৌসুম হতে পারে, যার মধ্যে সাতটি ক্যাটাগরি-৩ বা তার বেশি শক্তিশালী ঝড় হবে।
সংস্থাটি অসময়ের এই হারিকেনের জন্য প্রশান্ত মহাসাগরের লা নিনা প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হারিকেনসহ চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলো ঘন ঘন ঘটছে এবং এসব আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠছে।