ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনকে প্রতিস্থাপন করে যথাক্রমে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়াম নামে নতুন আইন কার্যকর করেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত।
ফলে, সোমবার (১ জুলাই) থেকে ভারতীয় ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বদলে যাবে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে ব্রিটিশ আমলের তিনটি আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের দাবি, দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং বর্তমান যুগের অপরাধের নতুন নতুন ধরনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন আইনে বিচার কার্যক্রম শেষের ৪৫ দিনের মধ্যে রায় এবং প্রথম শুনানির ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট গঠনের কথা বলা হয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, দেশের সবার জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য এসব পরিবর্তন করা হয়েছে। এই আইনের ধারা যথাযথ প্রয়োগের জন্য প্রশিক্ষণ ও ফরেনসিক টিমের প্রয়োজন হবে। সাত বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডের অপরাধের জন্য ফরেনসিক টিমের পরিদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গণধর্ষণ, গণপিটুনিতে হত্যা, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং অন্যান্য অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন বিধান করা হয়েছে। এটি সারা দেশে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বাড়াবে। আর তাদের জোগান দেবে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি।
তবে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো বলছে, মোদি সরকার তাড়াহুড়ো করে নতুন আইন কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব আইন কার্যকর করার আগে আরও পরামর্শের প্রয়োজন ছিল।