তার ডাকা সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন ভারতে। কিন্তু, তারপর থেকেই লাপাত্তা স্বঘোষিত ধর্মগুরু সুরজ পাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি। ভক্তদের কাছে যিনি ভোলে বাবা নামেই পরিচিত।
মঙ্গলবারের (২ জুলাই) ঘটনার পর থেকেই হাথরসের বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এই ভোলে বাবার উপর। তার পোস্টার লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে ইট-পাথর। এমন ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার হাথরসে একটি সৎসঙ্গের ডাক দিয়েছিলেন ভোলে বাবা। খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষেই ঘটে বিপত্তি।
কেউ বলছেন, সৎসঙ্গের জন্য যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা ঘেরা ছিল। পাখার ব্যবস্থা ছিল না। ফলে সকলেই হাঁসফাঁস করছিলেন। সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পরেই মানুষ হুড়মুড়িয়ে মাঠের বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন।
আবার কারও ভাষ্যমতে, প্যান্ডলের আসা-যাওয়ার জন্য যে গেট তৈরি হয়েছিল, সেটিও অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হওয়ার কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা ভোলে বাবা। উত্তর প্রদেশ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কার দোষে এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
পুলিশ একটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই এফআইআরে সৎসঙ্গের আয়োজকদের নাম থাকলেও, নাম নেই সেই ভোলে বাবার। তবে ঘটনার পর থেকেই ভোলে বাবাকে নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে।
মঙ্গলবার হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২১। আহত আরও অনেক। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাদের।
বুধবার (৩ জুলাই) সকালে তাদের দেখতে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।