রাশিয়া বাহিনী তাদের ভূখন্ড এবং ইউক্রেনের সংযুক্ত অঞ্চলে ৫০টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে শুক্রবার (৫ জুলাই) এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলেছে, রাশিয়ার ক্রাসনোডার এবং রোস্তভ এবং রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়াতে ড্রোনগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।
টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রাসনোডারে ১৪টি ইউএভি (ড্রোন), জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে ২৬টি এবং রোস্তভ অঞ্চলে ১০টি ইউএভি ধ্বংস করেছে।’
এদিকে, পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের চাসিভ ইয়ারের অংশ থেকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রাশিয়া, ইউক্রেনের পূর্বের কৌশলগত শহরের একটি জেলার উপর নিয়ন্ত্রণ দাবি করার একদিন পরে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এই খবর জানিয়েছে কিয়েভ।
প্রসঙ্গত, রুশ সেনারা কয়েক সপ্তাহ ধরে দোনেৎস্ক অঞ্চলে ক্রমাগত অগ্রসর হচ্ছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, রাশিয়ার কৌশলগত শহরের একটি জেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার একদিন পর তাদের সেনারা পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের চাসিভ ইয়ারের অংশ থেকে সরে গেছে।
পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের এই চসিভ ইয়ার এমন একটি কৌশলগত শহর, যেটিকে পশ্চিম দিকে ক্রামতোর্স্ক এবং স্লোভিয়ানস্ক শহরগুলোর দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য রাশিয়া বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, তাদের বাহিনী পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলের নভয়ি জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, যা শহরের পূর্ব অংশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সিভারস্কি ডোনেটস-ডনবাস খালের পশ্চিমে অবস্থিত।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র নাজার ভোলোশিন দেশটির টেলিভিশনকে বলেন, ‘শত্রু পক্ষের সেনারা প্রবেশ করার পর খালের আশেপাশের এলাকাটি ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। কারণ, তাদের অব্যাহত হামলায় আমাদের সেনাদের জীবন ও স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছিল এবং আমাদের রক্ষকদের অবস্থান ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই সেনাদের জীবন রক্ষা এবং পুনরায় প্রতিরক্ষা ছক কষতে কমান্ডটি ওই এলাকা থেকে পিছু হটেছে।’