ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরসে ধর্মীয় উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের কয়েকজনের পরিজনের সঙ্গে শুক্রবার (৫ জুলাই) সাক্ষাৎ করেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
সেখানে রাহুল বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় সরব হবেন তিনি। এদিকে, হাথরসে না গিয়ে দিল্লিতে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করার জন্য বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেছিল কংগ্রেস।
তারপরে রাহুলের এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাহুল শুক্রবার সকালে প্রথম আলিগড়ের নভিপুর খুর্দ এবং পিলাখনা গ্রামে যান। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত শান্তি দেবী ও মঞ্জু দেবীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর হাথরসের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
মৃতদের পরিবারের সদস্যরা পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাহুল তাদের আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘বিষয়টি আমি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই না। তবে প্রশাসনের উদ্যোগে ঘাটতি রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। এই দরিদ্র পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার হাথরসের মুগলগঢ়িতে একটি সৎসঙ্গের ডাক দিয়েছিলেন ধর্মগুরু ‘ভোলে বাবা’। খোলা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষেই ঘটে বিপত্তি।
হাথরসের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পিটিআই।
কংগ্রেসসহ বিরোধীদের অভিযোগ, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ-প্রশাসন ভিড় নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। সে কারণেই এই দুর্ঘটনা।
হাথরসকাণ্ডে এখনো পর্যন্ত ছয় জন গ্রেফতার হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারা সকলেই সৎসঙ্গের সেবক ছিলেন। তবে মূল অভিযুক্ত মুখ্য সেবক দেবপ্রকাশ মধুকরের খোঁজ মেলেনি এখনো।