ভারতের তামিলনাড়ুর বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) প্রধান কে আর্মস্ট্রংকে চেন্নাইয়ে তার বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার (৫ জুন) রাতে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দলের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন আর্মস্ট্রং। সেই সময়ে বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা তার উপর আচমকা হামলা চালায়।
মুহূর্তের মধ্যে আর্মস্ট্রংয়ের বুকে কয়েক বার কোপ মেরেই পালিয়ে যান অভিযুক্তেরা। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইকে করে ছয় জন দুষ্কৃতীকারীরা এসেছিল। তাদের কাছে ধারালো অস্ত্র ছিল। আর্মস্ট্রংকে কুপিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
দলের কর্মী এবং আর্মস্ট্রংয়ের পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় চেন্নাইয়ের রাস্তায় বিএসপির বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে পথে নেমেছেন দলের কর্মী এবং সমর্থকেরা।
তবেম কী কারণে এই আক্রমণ, তা এখনো স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পূর্বের কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই হত্যার যোগসূত্র থাকতে পারে। একে প্রতিশোধমূলক হত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে।
চেন্নাইয়ের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, আরকট সুরেশ নামের এক গ্যাংস্টার গত বছর খুন হয়েছিলেন। তার সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র থাকতে পারে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের হাতে আট জন সন্দেহভাজনের নাম রয়েছে। তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও নিশ্চিত করেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
কোনো কোনো রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, খাবার ডেলিভারি বয় সেজে আর্মস্ট্রংয়ের বাড়ির সামনে গিয়েছিলেন আততায়ীরা। তবে, এখনো সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে ১০টি বিশেষ দল গঠন করেছে চেন্নাই পুলিশ।
৫২ বছর বয়সি আর্মস্ট্রং পেশায় আইনজীবী ছিলেন। ২০০৬ সালে চেন্নাই কর্পোরেশন কাউন্সিলের নির্বাচনে জিতেছিলেন তিনি। তিনি দুই বছর আগে চেন্নাইয়ে একটি বড় জনসভার আয়োজন করলে সেখানে বিএসপি প্রধান মায়াবতী এসেছিলেন তার ডাকে।