মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার (১৩ জুলাই) ‘দি রিসোলভ তিব্বত আইন’-এ স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
এই আইনে বলা হয়েছে যে, তিব্বতের উপর চীনের চলমান দখলদারিত্বের সমাধান অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে, দমন-পীড়নের মাধ্যমে নয়।
বাইডেনের সরকার চীনকে দালাই লামা বা তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে পূর্বশর্ত ছাড়াই সরাসরি সংলাপ পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে মতপার্থক্যের সমাধান হয় এবং তিব্বত নিয়ে একটি আলোচনাকে চুক্তির দিকে নিয়ে যাওয়া যায়।
তিব্বতের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন-এর প্রেসিডেন্ট তেনচো গ্যাতসো বলেছেন, ‘এই আইনটি তিব্বতের জনগণের প্রতি চীনের নৃশংস আচরণের প্রবণতাকে দমন করেছে।’
এই আইনের মাধ্যমে তিব্বতিদের তাদের নিজস্ব ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং ঐতিহাসিক পরিচয়কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
এই আইন স্বীকার করে যে, চীন তিব্বতিদের জীবনধারাকে দমন করছে।
এদিকে, তিব্বতের জনগণকে প্রকৃত স্বায়ত্তশাসন প্রদানের জন্য চীনের প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়েছেন তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দালাই লামা।
মর্কিন হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককল (আর-টিএক্স) বিলটি কংগ্রেস পাস করার আগে বক্তৃতায় আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, নতুন আইনটি তিব্বতের জনগণকে তাদের ভবিষ্যতকে নিজেদের দায়িত্বে রাখতে সাহায্য করবে।
এরই মধ্যে এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে তিব্বতের কেন্দ্রীয় প্রশাসন।
তিব্বতি জনগণের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার সংগ্রামে তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা এনজিও স্টুডেন্টস ফর এ ফ্রি তিব্বত বলেছে, আইনটি তিব্বতিদের ইচ্ছার প্রতিধ্বনি করে।