নেপালে একটি যাত্রীবাহী বাস নদীতে পড়ে অন্তত ১৪ জন ভারতীয় নিহত এবং আরও ১৬জন আহত হয়েছেন। বাসটিতে ৪০ জন যাত্রী ছিলেন, তাদের সবাই ভারতের নাগরিক। তারা পোখারা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডি টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার ভোরের দিকে রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন এলাকা পোখরার রওনা হয়েছিল বাসটি, তানাহুন নামের একটি এলাকায় আসার পর সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী মারসিয়াংদি নদীতে পড়ে যায়।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নদীর তীরের দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চলছে। দুর্ঘটনার কারণ ও হতাহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি পাহাড়ি ঢালের নিচে নদীর পাশে ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি পড়ে আছে। উদ্ধার কর্মীরা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে বেঁচে থাকা যাত্রীদের খুঁজছেন।
এর আগে গত ১২ জুলাই ভূমিধসের কবলে পড়ে নেপালের চিতওয়ান জেলার নারায়ণঘাট-মুগলিং সড়কের পাশে সিমালতাল এলাকায় নদীতে ডুবে গিয়েছিল দু’টি বাস। এতে নিখোঁজ হয়েছিলেন ওই দুই বাসের মোট ৬৫ জন যাত্রী। তাদের মধ্যে মাত্র ৫ জনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২ জন।