লেবানন মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ক্ষেত্র হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে ব্যাপকহারে হামলা ও পাল্টা হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন এক জেনারেলের উদ্দেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রোববার (২৫ আগস্ট) মিশরের প্রেসিডেন্টের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরা এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময়ের তৃতীয় দফা আলোচনা মিশরে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মিশরের রাজধানী কায়রোতে এসে পৌঁছান মার্কিন এয়ার ফোর্স জেনারেল ও জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ সি কিউ ব্রাউন।
সে সময় মিশরের প্রেসিডেন্ট এ সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেন। এসময় মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল বলেন, লেবানন মধ্যপ্রাচ্যের নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে শুরু হতে পারে।
খবরে বলা হয়, রোববার লেবাননভিত্তিক হেজবুল্লাহ গোষ্ঠী ইসরায়েল অভিমুখে কয়েকশ রকেট হামলা চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল ১শটি জেটপ্লেন থেকে লেবাননে তীব্র হামলা করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে হামাসের সদস্যরা হামলা করলে অন্তত ১ হাজার ২শ ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলার চালালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। সে যুদ্ধ ১০ মাস অতিক্রম করেছে।
এই ১০ মাস ধরে চলা যু্দ্ধে রোববারের উভয়পক্ষের হামলা-পাল্টা হামলা ছিল সবচেয়ে বেশি তীব্র।
রোববার মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি’র অফিস থেকে এক বিবৃতিতে মার্কিন জেনারেলের প্রতি এক বার্তায় বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্য) জুড়ে আর যাতে যুদ্ধের বিস্তৃতি না ঘটে, সে ব্যাপারে তাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা। যুদ্ধের বিস্তৃতির সম্ভাবনা এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা আরো বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
বিবৃতিতে মিশরের প্রেসিডেন্ট বলেন, হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার প্রেক্ষিতে লেবাননে আরেকটি যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। তিনি বলেন, লেবাননের স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
এদিকে, মিশরের প্রতিরক্ষা প্রধানের সঙ্গে দেখা করার পর মার্কিন জেনারেল ব্রাউন প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।