দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৪টায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে অর্থাৎ ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। এ নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৩৯ জন। তবে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণার পর এক প্রার্থী মারা যাওয়ায় বর্তমানে লড়াইয়ে আছেন ৩৮ জন। এই নির্বাচনে শ্রীলঙ্কার মোট ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ২০২২ সালের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কায় তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের একপর্যায়ে ওই বছরের মে মাসে হাজার হাজার মানুষ সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজপক্ষের বাসভবনে ঢুকে পড়ে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন গোতাবায়া। ক্ষমতায় বসেন রনিল বিক্রমাসিংহে। এরপর দুই বছরেরও কিছু বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক মন্দা অনেকটাই সামলে নিয়েছে।
তবে ২০২২ সালে বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার পর অর্থাৎ দেশটি দেউলিয়া হওয়ার পর এখনো শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ শুরু করেনি। দেশটির বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার বা ৪৬ বিলিয়ন ডলা। যার ফলে জীবন চালাতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে লাখ লাখ মানুষকে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ ও ২০২২ সালের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় দারিদ্র্য দ্বিগুণ হয়ে ২৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
এমন পরিস্থিতিতে, এবারের নির্বাচনকে পরবর্তী নেতা বাছাইয়ের পরিবর্তে আইএমএফের কর্মসূচির ওপর গণভোট হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকেরা।