শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশ আজ

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-09-22 11:23:18

গণঅভ্যুত্থানে গোতাবায়া রাজাপাকসে সরকারের পতনের দুই বছর পর শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শ্রীলঙ্কার ডেইলি মিরর জানিয়েছে রোববার  (২২ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে ।

এ নির্বাচনকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ভোট প্রদানের হার ৭০ শতাংশের বেশি। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার আর.এম.এ.এল. রত্মানায়েকে এ মন্তব্য করেন।

নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেসহ ৩৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে প্রথমবারের মতো নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শক্ত অবস্থানে আছেন বিরোধী দল সঙ্গী জন বালাওয়েগার (এসজেবি) নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাও। তিনি সাবেক এক প্রেসিডেন্টের ছেলে, যিনি ১৯৯৩ সালে গৃহযুদ্ধের সময় আততায়ীর হাতে নিহত হন। সাজিথ প্রেমাদাসা এই নির্বাচনে বেশ ভালো করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা আরেক প্রার্থী হলেন ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতা অনুড়া কুমার দিসানায়েক। একসময় প্রান্তিক পর্যায়ে চলে যাওয়া মার্ক্সবাদী দলের নেতা তিনি। তবে শ্রীলঙ্কার সংকট অনুড়া কুমার দিসানায়েকের জন্য একটি সুযোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

রাজাপক্ষে পরিবার থেকে প্রার্থী হয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী নমল রাজাপক্ষে। এই পরিবার থেকে অতীতে দুজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। একজন হলেন নমলের বাবা মাহিন্দা রাজাপক্ষে আর অপরজন চাচা গোতাবায়া রাজাপক্ষে। নমল লড়ছেন শ্রীলঙ্কান পদুজন পেরামুনা (এসএলপিপি) দল থেকে। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা তার আরেক চাচা বাসিল রাজাপক্ষে।

পিপলস স্ট্রাগল অ্যালায়েন্স থেকে লড়ছেন ৪০ বছর বয়সী নুয়ান বোপেজ। গোতাবায়া-বিরোধী গণবিক্ষোভে অংশ নেওয়া ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন তিনি। নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতিবিরোধী কড়া অবস্থান ঘোষণা করেছেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নতুন আইন অনুযায়ী, একজন ভোটার তিন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। কোনো একজন প্রার্থী কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বা এর চেয়ে বেশি ভোট পেলে, তাঁকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। আর কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফা (রান-অফ) ভোট হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর