যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যায়, হ্যারিসের স্বাস্থ্য চমৎকার এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য শারীরিক ও মানসিক শক্তি তার আছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১২ অক্টোবর) এ তথ্য প্রকাশ করে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ না করা এবং এ নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছেন।
কমলা হ্যারিসের দাবি, তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন জনগণকে জানাতে চান না যে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ফিট বা সক্ষম আছেন কী-না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের চিকিৎসককে উদ্ধৃত করে তার প্রচারণা শিবির বলেছে, তিনি নিখুঁত এবং চমৎকার শারীরিক অবস্থায় রয়েছেন। যদিও ট্রাম্পের কোন ধরনের মেডিকেল রিপোর্ট বা স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করেনি তারা। তাদের দাবি, ট্রাম্প অত্যন্ত ব্যস্ত এবং তার সক্রিয় প্রচারণা কর্মসূচি চলছে।
হোয়াইট হাউস কমলা হ্যারিসের মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশের পর উভয় পক্ষ পরস্পরকে কথার বাক্যবাণে জর্জরিত করছে। হোয়াইট হাউসের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম’।
গত তিন বছর ধরে কমলা হ্যারিসের চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কর্নেল ডা. জসুয়া সিমন্স। তিনি লিখেছেন এপ্রিল মাসে কমলার স্বাস্থ্যের অবস্থা ছিলো ‘অসাধারণ’ এবং একই সাথে যোগ করেন যে তিনি স্বাস্থ্যসম্মত ও সক্রিয় জীবন যাপন করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, কমলা হ্যারিসের পরিবারের কোলন ক্যান্সার ও অ্যালার্জিতে ভোগার ইতিহাস আছে। অবশ্য তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কোলন্সকপি ও বছরে একবার ব্রেস্ট স্ক্রিনিংসহ প্রতিরোধমূলক পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়মিত করে থাকেন।
মেডিকেল রেকর্ড প্রকাশের পর, হ্যারিসের প্রচারণা শিবিরের একজন মুখপাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে বলেছেন, এবার আপনার পালা, ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নর্থ ক্যারোলাইনায় প্রচার কর্মসূচির আগে কমলা হ্যারিস তার প্রতিদ্বন্দ্বীর মানসিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ও বলেন যে কীভাবে তিনি ‘খেই হারিয়ে ফেলেন’।
ডেমোক্র্যাটরা ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়স ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে বারবার তাকে আক্রমণ করছেন। কয়েক মাস আগে রিপাবলিকানরা সরাসরি একই ধরণের সমালোচনা করতেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিষয়ে।