ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৫০ জন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে হামাস নিশ্চিত করেছে যে, নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তিনি তার জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ফিলিস্তিনকে রক্ষা করার জন্য চেষ্টা করে গেছেন।
হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা খলিল হায়া বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি বন্দিরা গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ না করা পর্যন্ত মুক্তি পাবে না।
অপরদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সিনওয়ারকে হত্যা করা হলেও গাজার সাথে যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এপর্যন্ত কমপক্ষে ৪২ হাজার ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৯৯ হাজার ৫৪৬ জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।