ইসরায়েল হামলা চালালে ইরান পাল্টা হামলা চালাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের সামরিক সব স্থাপনা শনাক্ত করা হয়েছে। তেল আবিব হামলা করলেই এসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাবে তেহরান।
শনিবার তুর্কি টিভি চ্যানেল এনটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এ হুঁশিয়ারির কথা বলেন। রোববার (২০ অক্টোবর) ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আব্বাস আরাগচিকে উদ্ধৃতি দিয়ে ইরনা জানায়, "আমরা ইসরায়েলের সব সামরিক লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করেছি। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যেকোন পদক্ষেপ নিলে তেহরান তা দ্বিগুণ রূপে প্রতিক্রিয়া জানাবে।"
ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলাকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের জন্য লাল রেখা হিসেবে বিবেচনা করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনও আক্রমণের অর্থ একটি লাল রেখা অতিক্রম করা। আমরা এ ধরনের হামলার জবাবে ছাড় দিবো না। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যেকোনো হামলা বা অনুরূপ কোনো আক্রমণের প্রয়োজনীয় জবাব দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে। কারণ ইসরায়েল গাজা এবং লেবাননে আমেরিকার সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করে তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
"মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত। যদি এই অঞ্চলে বড় আকারের যুদ্ধ হয়, তবে তাদেরকেও এতে টেনে আনা হবে এবং আমরা এটি মোটেই চাই না"- বলেছেন আরাগচি।
উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় ইরান। এরপর তেহরানেও পাল্টা হামলার হুমকি দেয় ইসরায়েল। তাদের এ হুমকির প্রেক্ষিতেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।
প্রসঙ্গত, জুলাইয়ের শেষের দিকে তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যা, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানের সামরিক কমান্ডার আব্বাস নীলফরৌশানকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান এই অভিযান পরিচালনা করে।
ইরান বলছে, তারা ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিক্রিয়ার অভাবে এই অভিযান চালাচ্ছে।