তুরস্কে রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের পরিকল্পনার জন্য অভিযুক্ত প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লা গুলেন যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন।
গুলেন-সংশ্লিষ্ট একটি ওয়েবসাইটের বরাতে সোমবার (২১ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তুর্কি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসনে থাকা ৮৩ বছর বয়সী এই ধর্মগুরু পেনসিলভেনিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অভিযোগ রয়েছে ২০১৬ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পেছনে ছিলেন গুলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এরদোয়ানের এক সময়ের মিত্র ছিলেন গুলেন। কিন্তু এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে নাটকীয়ভাবে বিরোধ দেখা দেয়। এরদোয়ান তাকে ২০১৬ সালের অভ্যুত্থানের চেষ্টার জন্য দায়ী করেন, যেখানে বিদ্রোহী সেনারা যুদ্ধবিমান, ট্যাংক এবং হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তুরস্কের ক্ষমতা দখলে নিতে চেয়েছিল। সে সময় লড়াইয়ে প্রায় ২৫০ জন তুর্কি নিহত হয়। আর অভ্যুত্থানও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।
এরদোয়ানের জোরালো দাবি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয়ে থাকা গুলেনই ছিলেন এই সেনা বিদ্রোহের হোতা। গুলেন দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেইনিয়ায় থাকলেও, তুরস্কে তার প্রভাব আছে। ‘হিজমেত’ নামের একটি জনপ্রিয় আন্দোলনের প্রধান ছিলেন তিনি।
আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে গুলেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন।