উত্তর কোরিয়ার সেনা রাশিয়ায় থাকার প্রমাণ রয়েছে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, সেখানে তারা কি করে সেটিই এখন দেখার বিষয়।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অস্টিন একথা বলেন।
তিনি বলেন, তারা (উত্তর কোরিয়ার সেনা) সেখানে ঠিক কী করছে? সেটাই এখন দেখার বাকি। এ বিষয়গুলোই আমাদেরকে খতিয়ে দেখতে হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গোয়েন্দা তথ্য উদ্ধৃত করে বলেছেন, তারা উত্তর কোরিয়ার ১২ হাজার সেনার দুটো ইউনিটের প্রস্তুতির খবর পেয়েছেন। তারা রাশিয়া বাহিনীর পাশাপাশি যুদ্ধে অংশ নেবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএস) গত সপ্তাহের এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে জানিয়েছিল, ১,৫০০ সেনা রাশিয়ায় পৌঁছেছে। ৮ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার বিশেষ অভিযান পরিচালনা বাহিনীর এই সেনাদেরকে রুশ নৌবাহিনীর জাহাজে করে রাশিয়ার বন্দর নগরী ভ্লাদিভোস্তকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার আরও সেনা শিগগিরই রাশিয়ায় পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছিল এনআইএস। এই সেনা সংখ্যা শেষ পর্যন্ত মোট ১২ হাজারের কাছাকাছি দাঁড়াতে পারে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমকে জানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি সূত্র।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করার প্রতিশ্রুতির মধ্যে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় ৩ হাজার সেনা পাঠিয়েছে।
মার্কিন প্রকাশনা দ্য ওয়ার জোনকে ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিরিলো বুদানভ বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনারা বুধবার রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে পৌঁছতে পারে। যেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনী আগস্ট মাসে আক্রমণ শুরু করেছিল।
উত্তর কোরিয়ার সেনাদের প্রত্যাহার করতে সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল উত্তর কোরিয়ার সেনা রাশিয়ায় মোতায়েনকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেন।