হিজবুল্লাহর হামলায় ছয় ইসরায়েলি সেনা সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি আর্মি রেডিও'র বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ রকেট পশ্চিম গ্যালিলের শোমেরা এলাকায় অবতরণ করলে অন্তত ছয় ইসরায়েলি সৈন্য আহত হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা হতাহতের শিকার হচ্ছে।
এদিকে, ইরানে সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ইরান এবং তার মিত্রদের দ্বারা ক্রমাগত আক্রমণের প্রেক্ষিতে এ হামলা চালাচ্ছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
তেহরানের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছে, তেহরানে তারা মোট সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন। এসব বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকাগুলো কেঁপে ওঠেছে।
এদিকে, গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বলছে, অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় ১২ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওদাইসির উপকণ্ঠে ১২ জনের বেশি ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা ও আহত করেছে। তাদের স্থল যুদ্ধ অব্যাহত এখনো রয়েছে।
অন্যদিকে খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে ১৪ শিশুসহ এক পরিবারের অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলে ২০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এরপরই ইরানকে এর চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল।