ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শার্লি আয়োরকর বোচওয়েকে কমনওয়েলথের নতুন মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সামোয়াতে আয়োজিত ৫৬ সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত কমনওয়েলথের এক বর্ণাঢ্য শীর্ষ সম্মেলন শেষে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
বর্তমান মহাসচিব ডোমিনিকান রাষ্ট্রের ব্যারনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের স্থলাভিষিক্ত হবেন ৭ম মহাসচিব হিসেবে নব্য নির্বাচিত আয়োরকর বোচওয়েক।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) এই শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশের বেশিরভাগ স্বাধীন দেশ নিয়ে কমনওয়েলথ গঠিত।
বোচওয়ে এ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তিনজন প্রার্থীর মধ্যে একজন ছিলেন। প্রার্থীরা ঔপনিবেশিকতা ও দাসত্বের উত্তরাধিকার মোকাবিলা করার জন্য ব্রিটেনের আহ্বানকে সমর্থন করেছেন।
এর আগে তিনি সাত বছর ধরে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ঘানার দুই বছরের মেয়াদের সময়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঘানার এই মেয়াদ শেষ হয়।
তিনি কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির খসড়াকে সমর্থন করেছেন। এর আগে তিনি বলেছেন যে, তিনি ক্ষতিপূরণের দাবি করবেন।
তিনি এই বছরের শুরুর দিকে লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আর্থিক ক্ষতিপূরণই সবচেয়ে ভাল হবে।’
একজন কমনওয়েলথ মহাসচিব সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে চার বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
নিয়ম অনুসারে, মহাসচিবের ভূমিকাটি কমনওয়েলথের চারটি ভৌগলিক ব্লকের চারপাশে আবর্তিত হয়-প্রশান্ত মহাসাগর, এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা। সে অনুসারে এবার আফ্রিকার পালা।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আমাকে কমনওয়েলথের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের অপ্রতিরোধ্য সমর্থনে সত্যিই কৃতজ্ঞ।’
কমনওয়েলথ গণতান্ত্রিক শাসন, বাণিজ্যে সহযোগিতা, শিক্ষা, জলবায়ু সমর্থন ও আর্থিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা প্রচার করে।
এর নেতৃত্বে আছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। তবে সেক্রেটারি জেনারেল লন্ডন ভিত্তিক সচিবালয়টি পরিচালনা করবেন।