ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বোমা হামলায় নারী-শিশুসহ আরও ১০২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ হাজার ১৬৩ জনে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা জুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত ১০২ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারীরা উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছেন, কিন্তু তারা আটকা পড়াদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের ঐতিহাসিক বালবেক অঞ্চলের দুটি শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে আট নারীসহ কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি আশা করছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূত আমোস হোচস্টেইনে সাথে তেল আবিবে
আলোচনার ফলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইসরায়েলের সাথে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করা হবে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৩ হাজার ১৬৩ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ এক হাজার ৫১০ জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।
এছাড়া লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১২৭ শিশুসহ কমপক্ষে ২ হাজার ৮২২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৯৩৭ জন।