রোববার মধ্যরাতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত দু’টো থেকে এক ঘণ্টা পিছিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রের সব ঘড়ির কাঁটা। বহুল আলোচিত ‘সূর্যালোক সংরক্ষণ’ বা ডে লাইট সেভিং সিস্টেমের অংশ হিসেবে দেশটিতে প্রতি বছরই শীতকালে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পেছনের দিকে ফেরানো হয়। আবার গ্রীষ্মের শুরুতে এই সময় সীমা এক ঘণ্টা এগিয়ে এনে মেলানো হয় স্বাভাবিক সময়সূচির সঙ্গে।
আজ থেকে শুরু হবে স্ট্যান্ডার্ড টাইমটেবল এবং তা অব্যাহত থাকবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। স্টান্ডার্ড টাইম টেবল শুরু হলে ঢাকায় যখন দুপুর ১২টা বাজবে, নিউইয়র্কে তখন রাত ১টা হবে।
নিয়ম অনুযায়ী আগামী বসন্তের শুরুতে ২০২৫ সালের ১০ মার্চ আবারও সামনের দিকে এগিয়ে আনা হবে এই কাঁটা। তখন নিজেদের ঘড়ির সঙ্গে পুনরায় এক ঘণ্টা সময় যোগ করে নিতে হবে মার্কিনীদের।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্রই এ পদ্ধতি মেনে চলা হলেও নাভাজো ইন্ডিয়ান আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত অঞ্চল ছাড়া অ্যারিজোনা রাজ্য এবং হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ এ পদ্ধতির তোয়াক্কা না করে চলে স্বাাভাবিক সময় সূচি মেনে।
এদিকে নতুন নিয়ম বলবৎ হওয়ার ফলে ৪ নভেম্বর সকালে অন্যান্য দিনের থেকে এক ঘণ্টা বেশি সময় ঘুমানোর সুযোগ পাচ্ছেন মার্কিনীরা। রোববার প্রথম প্রহর রাত ২টার সময় জনগণকে ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে নিতে বলেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
‘গ্রীষ্মে এগোনো এবং শীতে পেছানো’ মূলত এই নীতির ওপর ভিত্তি করেই ঘড়ির কাঁটা সামনের দিকে এগিয়ে বা পিছিয়ে নেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ‘ডে লাইট সেভিং টাইম’ পদ্ধতি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বলবৎ হয় প্রথম বিশ্বযুুদ্ধ চলাকালীন সময়ে। সূর্যের আলোর সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে জ্বালানি সাশ্রয় করার র্জামান উদ্যোগের দেখাদেখি যুক্তরাষ্ট্রেও এটি চালু করেন তৎকালীন কর্তাব্যক্তিরা।
শুধু আমেরিকা নয় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতেও প্রতিবছর মার্চের শেষ রোববার (৩১ মার্চ) ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নেয়া হয়। এসব দেশে এটি ‘ডে লাইট সেভিং টাইম (ডিএসটি)’ নামে পরিচত।