ইসরায়েলের হামলার মধ্যেই উত্তর গাজায় শিশুদের পোলিও টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে অভিযান অব্যাহত থাকায় অঞ্চলটির সব স্থানে কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি।
শনিবার (২ নভেম্বর) শিশুদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানায়। খবর আল জাজিরা।
সংস্থাটি জানায়, অত্যন্ত কঠোর অবস্থা সত্ত্বেও উত্তর গাজায় পুনরায় টিকাদানের নতুন একটি অভিযান শুরু হয়েছে। তবে তাদের বাধার কারনে কিছু এলাকায় এ কার্যক্রম পৌঁছানো অসম্ভব করে তুলতে পারে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, "এই পোলিও ক্যাম্পেইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ কার্যক্রমে ইসরায়েল বাধা দেওয়ায় সঠিকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন শিশুরা মারা যাবে এবং তাদেরকে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হবে। এই সময়ে আগের চেয়ে আরও জরুরিভাবে কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন।"
এর আগে পোলিও টিকার প্রথম পর্যায়টি সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল। ওই সময় এক দিনের বেশি বয়সী এবং ১০ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে এই টিকা দেওয়া হয়েছিল। সংস্থাটি এখন ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত ডোজ পরিচালনা করার চেষ্টা করছে।
জাতিসংঘ বলছে, উত্তর গাজায় দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রচারণার লক্ষ্য হল আনুমানিক এক লাখ ১৯ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া। কিন্তু প্রবেশে সীমাবদ্ধতার কারণে এই লক্ষ্য অর্জন করা এখন অসম্ভব।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, ২১৬টি দল এখন ১০৬টি নির্দিষ্ট জায়গায় কাজ করছে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুতরাও রয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ৪৩ হাজার ২০০'র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ১ লাখ এক হাজার ৮০০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে।