মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় এবং ভোট গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সহিংসতার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা, ওরেগন ও ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘ন্যাশনাল গার্ড’ সক্রিয় করা হয়েছে। কোথাও কোথাও ভোট গণনা কেন্দ্র ঘিরে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে।
নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসের একটি ভবন ঘিরে এমন নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কারণ, এখানে নেভাদার ভোট গণনা করা হবে। সম্ভাব্য সহিংসতা মোকাবিলায় অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্য পুলিশ ড্রোন ও স্নাইপার নিয়ে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের দিন সহিংসতার ঝুঁকি রয়েছে। সম্ভাব্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা, প্রচার কার্যালয়, সেইসাথে ভোট-সম্পর্কিত সাইট, অবকাঠামো এবং সাইবার হামলা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক কট্টর ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলো টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। তারা ভোটারদের বলছে, এই নির্বাচনের ফলাফল ট্রাম্পের অনুকূলে না এলে তারা ভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করবে। এমনকি তারা ভোটারদেরও এটি প্রতিহত করতে আহ্বান জানিয়েছে। এতে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা বাড়ছে।
ভোটের দিন শান্তি বজায় রাখতে সহায়তার জন্য অন্তত তিনটি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ন্যাশনাল গার্ডের সেনা তলব করেছেন।
রাত পেরোলেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এমন প্রেক্ষাপটে মার্কিনরা আজ প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস বা রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ভোট দেবেন।