মার্কিন এই নির্বাচনে ৭টি দোদুল্যমান রাজ্য হতে পারে ফলাফলের মূল ফ্যাক্টর এমনটা আগেই বলা হয়েছিল। বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই সাত রাজ্যের মধ্যে যে চারটি জিততে পারবে সে-ই হবে হোয়াইট হাউজের মালিক। ইতোমধ্যেই দোদুল্যমান ৭ রাজ্যের ২টিতে জয় পেয়েছেন ট্রাম্প।
বিবিসির সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১৬টি ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে গঠিত জর্জিয়ায় জয়ধ্বনি শুনেছেন ট্রাম্প। এর আগে নর্থ ক্যারোলিনা জয় করেছেন তিনি।
এদিকে দ্য গার্ডিয়ানের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ২৩০টি। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২১০টি ভোট। উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউজের নেতৃত্বের জন্য প্রয়োজন ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের আর প্রয়োজন ৪০টি আর হ্যারিসের প্রয়োজন ৬০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
এছাড়াও বিবিসি জানায়, ট্রাম্প বাকি সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়া, অ্যারিজোনা এবং উইসকনসিনে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে কমলা শুধু মিশিগানে এগিয়ে। আর নেভেদায় এখনো দোদুল্যমান। তবে এমন পরিস্থিতিতে এই রাজ্যেগুলো কার পক্ষে যায় তা এখনই বলা যাবে না। এজন্য অপেক্ষা করতে হবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। কেননা ভোটের মাঠে যেকোন কিছু হতে পারে।
কমলা হ্যারিস-ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন, লিবারটারিয়ান পার্টির চেইস অলিভার, স্বতন্ত্র প্রার্থী রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র (নির্বাচন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলেও এখনো বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যের ব্যালটে তার নাম রয়েছে) ও করনেল ওয়েস্ট (স্বতন্ত্র) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলেও ২৭ অক্টোবর থেকে আমেরিকায় শুরু হয়েছে আগাম ভোটপর্ব। ইতোমধ্যে দেশটির প্রায় ৮ কোটি বেশি ভোটদাতা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। আমেরিকায় ভোট দেওয়ার যোগ্য নাগরিকের সংখ্যা ২৩ কোটির বেশি। এ বারের নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। সর্বশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৬৬ শতাংশ, যা ছিল গত এক শতকের মধ্যে সর্বোচ্চ। সে বার আগাম ভোট পড়েছিল প্রায় ১০ কোটি।