দক্ষিণ কোরিয়ার গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমে (জিপিএস) উত্তর কোরিয়া 'জ্যামিং আক্রমণ' করেছে বলে দাবি সিউলের সামরিক বাহিনীর।
এর ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকটি জাহাজ এবং কয়েক ডজন বেসামরিক বিমান প্রভাবিত হয়েছে বলেও জানায় তারা।
শনিবার (৯ নভেম্বর) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) শনিবার পশ্চিম সাগর এলাকায় চলাচলকারী জাহাজ এবং বিমানকে উত্তর কোরিয়ার জিপিএস সিগন্যাল জ্যামিং থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
জেসিএস এক বিবৃতিতে জানায়, "উত্তর কোরিয়া গতকাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ও আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) হাইজু এবং কাইসোং এলাকা থেকে এই জ্যামিং আক্রমণ করেছে। এতে বেশ কয়েকটি জাহাজ ও বিমানের অপারেশনাল ব্যাঘাতের সৃষ্টি হয়েছে।
দেশটিকে অবিলম্বে এমন কাজ বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে জেসিএস এবং এ কাজের জন্য তাদেরকে দায়বদ্ধ থাকতে হবে বলেও জানানো হয়।
এর আগে দেশটির সরকার, চলতি বছরের ২৯ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার হস্তক্ষেপের কারণে আনুমানিক ৫০০টি প্লেন এবং শত শত জাহাজ জিপিএস সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছিল। এ নিয়ে সিউল জাতিসংঘের বিমান চলাচল সংস্থা ও আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার কাছে (আইসিএও) অভিযোগ দিয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি শনিবার জানায়, উত্তর কোরিয়ার সবশেষ জিপিএস "জ্যামিং আক্রমণটি" মে এবং জুন মাসের তুলনায় কিছুটা দুর্বল। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক অভিযান এবং সরঞ্জামে কোনো সমস্যা হয়নি।
সিউলের ইউনিভার্সিটি অফ নর্থ কোরিয়ান স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট ইয়াং মু-জিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, জ্যামিং অপারেশনের কারণ বিশ্লেষণ করা দরকার।জিপিএস জ্যামিং আক্রমণগুলো সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য বিমান দুর্ঘটনাসহ গুরুতর ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।