দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার ১৭তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দেশটির জাতীয় সংসদে ২শ ২৫টি আসন রয়েছে। এবার মোট ১ কোটি ৭০ লাখ ইলেক্টোরেট (নির্বাচক) নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
মঙ্গল ও বুধবার (১২ ও ১৩ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম, ভারতের আকাশবাণী এবং যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, ২৪ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে ১৬তম জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। এরপর নিয়ম অনুযায়ী দেশটির নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে।
৪ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণসহ ১৪ নভেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে।
২১ নভেম্বর জাতীয় সংসদের নব নির্বাচিতদের নিয়ে ১৭তম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এ অধিবেশনে স্পিকার নির্বাচন করা হবে।
এর আগে চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামঘেঁষা অনুরা কুমারা দিশানায়েকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রনিল বিক্রমাসিংহকে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া
প্রতি ৫ বছর পর পর শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংসদের ২শ ২৫টি আসনের মধ্যে ১শ ৯৬টি আসনে ২২টি নির্বাচনি জেলার জনসংখ্যার ৫ শতাংশের প্রতিনিধিত্বকারীরা (ইলেক্টোরাল) ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ইলেক্টোরালরা দলের তালিকানুযায়ী মোট ৩ জনকে ভোট দিতে পারেন।
অন্য ২৯টি আসনে জাতীয় তালিকার ভিত্তিতে ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। তবে এখানে দ্বীপের প্রতিনিধিত্বকারীদের দলের সাধারণ সম্পাদক আসন বণ্টন করে দেন।
সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে হলে মোট ১শ ১৩টি আসনে বিজয়ী হতে হয়।
এবারের জাতীয় সংসদে নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডা. হরিণী অমরাসুরিয়া, বিরোধী এসজেবি নেতা সাজিদ প্রেমাদাসা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুনারদেনা, বিজিতা হেরাথা, হর্ষ ডি সিলভা, এরান বিক্রমসিংহে এবং মানো গনেশানের মতো নেতারা অংশ নিচ্ছেন।
শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুসারে জাতীয় সংসদের বিলুপ্তির ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। ২০২০ সালের আগস্ট মাসে করোনা মহামারির মধ্যেই দেশটির সর্বশেষ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের জন্য মোট ১৩ হাজার ৪শ পোলিং স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে এবং ৭ হাজার ৫শ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।