ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদর দফতরে ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদর দফতর এবং তেল আবিবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে আত্মঘাতী ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
আল-জাজিরার অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহ দাবি করেছে তারা ড্রোনের একটি স্কোয়াড্রন দিয়ে উত্তর আমোস সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে। ঘাঁটিটি ইসরায়েলি শহর আফুলার কাছে অবস্থিত।
এদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মাউন্ট লেবানন গভর্নরেটের একটি গ্রামে ইসরায়েলি হামলায় ছয়জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৩ হাজার ৭১২ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৩ হাজার ২৫৮ জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।
এছাড়া লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৪৪ জন।