শ্বাসকষ্ট নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কতর্ব্যরত চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন। তারপর তার মরদেহ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য চিতার ওপর রাখা হয়। সব আয়োজন প্রস্তুত। আগুন দিতে যাবে এমন সময়ই ওই যুবক নড়ে ওঠেন। পরবর্তীতে তাকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের রাজ্য রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায়। ২৫ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম রোহিতাশ কুমার। এ ঘটনার পর তিন চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোহিতাশ কুমার বধির ছিলো। তার পরিবার না থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করতেন। আগে থেকেই তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিলো। সেই সমস্যা নিয়ে ঝুনঝুনুর বিডিকে হাসপাতালে এলে তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং লাশ মর্গে রাখেন। পুলিশ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পন্ন করে লাশ শ্মশানে নিয়ে যায়। পরে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য চিতার ওপর রেখে আগুন দেওয়ার সময় সে নড়ে ওঠে।
পরে তাকে আবারও একই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে জেলা কালেক্টর রামাবতার মীনা ওইদিন রাতেই ডাঃ যোগেশ জাখর, ডাঃ নবনীত মীল এবং পিএমও ডাঃ সন্দীপ পাচারকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং মেডিক্যাল বিভাগের সচিবকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করেন।
এ ঘটনার পর রাজস্ব আধিকারিক মহেন্দ্র মুন্ড এবং সামাজিক বিচার বিভাগের উপ-পরিচালক পবন পুনিয়া হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।