পাকিস্তানের ইসলামাবাদে চলা বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ'র (পিটিআই) প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দলটির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশ নির্বিচারে আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। এতে শত শত মানুষ আহত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় এক হাজার নেতা-কর্মীকে।
তবে গুলি ছোড়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইসলামাবাদের পুলিশপ্রধান আলী রিজভি জানান, বিক্ষোভ-কর্মসূচিতে অভিযানে পিটিআইয়ের কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে বেশ কিছু অটোমেটিক রাইফেল, টিয়ার গ্যাস বন্দুক জব্দ করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে বুধবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত মোট ৯৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে মঙ্গলবার রাতে।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও ইমরান খানের শীর্ষ সহযোগী আলি আমিন গান্দাপোর মানসেহরা শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়েছি। তারপরও পুলিশ আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। আমি আর ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি সরাসরি আক্রমণের শিকার হয়েছি।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী এবং ইসলামাবাদ পুলিশের একজন মুখপাত্র অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করার অনুরোধের জবাব দেননি।
এর আগে পিটিআই জানিয়েছে, এ হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।
কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভির কার্যালয় তা অস্বীকার করে এক বিবৃতিতে জানায়, এখন পর্যন্ত কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এই ধরনের কোন ঘটনা সম্পর্কে প্রচারিত দাবিগুলো ভিত্তিহীন এবং অপ্রমাণিত।
বুধবার বিক্ষোভের স্থানগুলো পরিদর্শন করে নকভি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সফলভাবে বিক্ষোভকারীদের অবস্থানের স্থান এবং রাজধানীর অন্যান্য এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।