সিরিয়ায় মিত্র বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইসলামিক প্রজাতন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার হোসেইন সালামি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েল এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের বিদ্রোহের মুখে পতন হয়েছে বাশার আল-আসাদ সরকারের। ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত আসাদের পতনে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে ইরান। দেশটির বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার হোসেইন সালামি সিরিয়া ইস্যুতে ইরানের পার্লামেন্টের সদস্যদের বলেছেন, ‘ইরানের শক্তি হ্রাস পায়নি।’
২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসাদ প্রশাসনকে সমর্থন করে আসছিল ইরান এবং রাশিয়া। এছাড়া ইসরায়েল এবং মার্কিন প্রভাবের বিরুদ্ধে ইরানের ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ বজায় রাখার জন্য তেহরান তার মিত্রকে ক্ষমতায় রাখতে সিরিয়ায় আইআরজিসি মোতায়েন করেছিল।
তবে আসাদের পতনের পর রাজধানী দামেস্কসহ সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইতিমধ্যে সিরিয়ার একটি রাসায়নিক অস্ত্র কারখানায়ও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলেছে, সাবেক সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানাটি বিদ্রোহীদের হাতে যাওয়ার আশঙ্কায় এই হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, তেল আবিবের নিরাপত্তা নিশ্চিতেই নেয়া হচ্ছে এমন পদক্ষেপ।
তবে, ইসরায়েলের এমন হামলা এবং গোলান মালভূমির সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত এলাকা ‘দখলে’ নেয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার, সৌদি আরব ও ইরাক।