পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ আবার নেবেন বলে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া হুমকি উড়িয়ে দিয়েছেন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। তিনি বলেন, পানামা খাল পানামার স্বত্বাধীনই থাকবে।
মার্কিন জাহাজের সঙ্গে ‘অন্যায্য’ আচরণের অভিযোগ এনে গত শনিবার ট্রাম্প পানামা খাল আবার যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার বিষয়ে হুমকি দেন।
ট্রাম্প বলেন, পানামা যদি চ্যানেলটির নিরাপদ, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য পরিচালনা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে আমরা দাবি করব যে পানামা খাল আমাদের কাছে সম্পূর্ণরূপে ও প্রশ্ন ছাড়াই ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। ভিডিওতে তিনি বলেন, পানামা খাল ও এর-সংলগ্ন এলাকার প্রতি বর্গমিটার পানামার স্বত্বাধীন। আর তা পানামার স্বত্বাধীনই থাকবে।
তবে তিনি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করেননি।
ট্রাম্প তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে গত শনিবার দেওয়া এক পোস্টে বলেন, মার্কিন জাহাজ ও বাণিজ্যের সঙ্গে খুবই অন্যায্য ও অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। এই জলপথ ব্যবহারের জন্য পানামা যে মাশুল নিচ্ছে, তা হাস্যকর।
পানামা খাল ঘিরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিষয় নিয়েও অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থের জন্য একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা হিসেবে দেখছে।
পানামা খালের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক নির্ভরতা আছে। জাহাজে করে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এই জলপথ ব্যবহার করে।
ট্রাম্প বলেছেন, পানামা খাল শুধু পানামার ব্যবস্থাপনার জন্যই ছিল, চীন বা অন্য কারও নয়। তারা এটা কখনো ভুল হাতে পড়তে দেবেন না।
লাতিন আমেরিকার দেশ পানামা ঐতিহাসিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। পানামা খাল খননের ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে। ১৯০০ শতকের দিকে যুক্তরাষ্ট্র খালটি খনন করেছিল। শুরুর দিকে পানামার সঙ্গে যৌথভাবে খালটি পরিচালনা করলেও ১৯৯৯ সালে মার্কিন সরকার খালটির নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়। তখন থেকে পানমা একাই খালটি পরিচালনা করছে।